Posts

Showing posts from September, 2016

স্বলাত/ নামাজ

আমাদের দেশে ২ ধরনের নামাজ আদায় হয়, মহি লা ও পুরুষের আসলেই কি ভেদাভেদ আছে? আলহামদুলিল্লাহ। সঠিক মতানুযায়ী মহিলাদের নামায ও পুরুষের নামাযের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। কিছু কিছু ফিকাহবিদ যে পার্থক্যগুলো উল্লেখ করেছেন সেগুলোর পক্ষে কোন দলিল নেই। প্রশ্নে আপনি যে হাদিসটি উল্লেখ করেছেন “তোমরা আমাকে যেভাবে নামায পড়তে দেখ সেভাবে নামায আদায় কর” এর বিধান সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করবে। ইসলামী বিধি-বিধানগুলো নারী-পুরুষ উভয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। তবে, দলিল যদি বিশেষ কোন বিধানকে খাস করে সেটা ভিন্ন কথা। অতএব, সুন্নাহ হল— রুকু, সেজদা, ক্বিরাত ও বুকে হাত রাখা ইত্যাদি সবক্ষেত্রে মহিলার নামায পুরুষের নামাযের মত। অনুরূপভাবে রুকুকালে হাঁটুতে হাত রাখার পদ্ধতিও একই। সেজদাকালে কাঁধ বরাবর কিংবা কান বরাবর জমিনে হাত রাখার পদ্ধতিও একই। রুকুকালে পিঠ সোজা রাখার পদ্ধতিও অভিন্ন। রুকু ও সেজদাতে যা পড়া হবে সেগুলো এক। রুকু ও প্রথম সেজদা থেকে উঠে যা বলবে সেটাও এক। এ সব ক্ষেত্রে নারীর নামায পুরুষের নামাযের ন্যায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পূর্বোক্ত হাদিসের ভিত্তিতে: “তোমরা আমাকে যেভাবে নামায পড়তে দেখ সেভাবে ন

আল্লাহর নয়, এখন চলে মানুষের বিধান

    আমার জন্মদাতা পিতা-মাতা বেশ ভাল করেই জানেন কোন পথে গেলে আমি ভাল থাকব আর কোন পথে গেলে খারাপ, তাই তারা ছোট বেলা থেকে সকলের পিতা মাতাই সকলকে একটি দিক বলে দেয়, অমুকের সাথে যেও না, অমুক ভাল না, অমুক থেকে দূরে থেক, ঐ কাজ থেকে দূরে থাক, ঐ গুলা ভাল কাজ না, ইত্যাদি আমদের কে সতর্ক করে দেয়, আমাদের লেখা পড়া শিখিয়ে আমাদের জ্ঞানী ও বিচুক্ষন করার ভাবনায় থাকে যেন আমরা ভবিষ্যতে কোন সমস্যা বা অভাবে না পরি। আমাদের সাক্সেস দেখতেচায় আমাদের পিতা ও মাতা । সকলের বেলায়ই এমন শুধুই শুভ কামনা। যদি আমরা তাদের কথামত না চলি তাহলে আমাদের সাথে অনেক ঝগরার বিচার, সেই বিচার এমন কি দৌরানী ও মার ও খেতে হয় আমাদের । তাই এই দুনিয়ার সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা একমাত্র আল্লাহ্‌ তা'আলা, আল্লাহ্‌ সুবহানা তা'আলাই ভাল জানেন আমরা কোন পথে চললে ভাল থাকব আর কোন পথে খারাপ। তাই তিনি আমাদের সতর্ক করেছেন অনেক কিছু থেকে, আর যেহেতু এই দুনিয়া ও দুনিয়ার সিকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা তাই তিনিই আল্লাহ্‌ তা'আলা হলেন একমাত্র বিধান দাতা। আমরা যদি আল্লাহর বিধান মেনে চলি তাহলে আমাদের চলার পথে ও আখেরাতে কোন সমস্যা হবেনা ইনশাল্লাহ, তাই আ

অধিকাংশ লোকের ব্যাপারে আল্লাহর বক্তব্য

Image
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। আমাদের সমাজে প্রচলন আছে বেশিরভাগ লোক যা করে তাই ঠিক। বুঝানোর জন্য এমন ও বলে থাকে যে " পাঁচজন যেখানে আল্লাহ ও সেখানে" মানে হলো অধিকাংশ লোক যা করে সেটাই ঠিক।  আসলেই কি তাই? আমরা মানুষ স্বার্থের টানে মিথ্যা বলতেও দ্বিধা করি না। আর ইসলামে প্রমাণ ব্যতীত কোন কথার-ই মূল্য নেই। তাই ঐ সমস্ত কথা শুনতে যতই ভাল লাগুক শুধু কথার কথা কাজের নয়। গ্রহনীয় নয়। আল্লাহ সুবহানা তা'লার বাণী কোরআনুল কারীম এ কোন মিথ্যা নেই। প্রথমে আমরা কোরআন থেকে দেখব এই অধিকাংশ বা বেশিরভাগ লোকের ব্যাপারে আল্লাহ কি বলেছে।  আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ أَوَكُلَّمَا عَاهَدُوا عَهْدًا نَّبَذَهُ فَرِيقٌ مِّنْهُم ۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ [٢:١٠٠] "কি ব্যাপার! যখনই তারা কোনো ওয়াদাতে অঙ্গীকার করেছে, তাদের একদল তা প্রত্যাখ্যান করেছে? না, তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।" [সূরা বাক্বারাঃ ২/১০০]  أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ "অধিকাংশ লোকেই শুকুরানা আদায় করে না।"[সূরা বাক্বারাঃ ২/২৪৩] كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّ

আল্লাহর প্রতি ভালবাসা ও ভয়

Image
আল্লাহর প্রতি ভালবাসা আল্লাহকে ভালবাসতে হবে দুনিয়ার সবকিছুর চেয়ে উর্ধে। কারন আল্লাহর কাছেই আমাদের ফিরে যেতে হবে। আল্লাহ আমাদের জন্য ৫ ওয়াক্ত স্বলাত ফরজ করেছেন, যেন আমরা তাকে স্মরনে রাখি ভূলে না যাই। যদি এই হুকুম ভালবাসার টানে না নিয়ে, অন্য যে কোন ভাবে নেই, তাহলে এমন হবে যে; ফজর এর নামাজ ৪ রাকাত; ৫ মিনিট। যোহর এর ফরয ৪ রাকাত; ২/৩ মিনিট। আসর ২/৩ মিনিট। মাগরেব ২/৩ মিনিট। এশা ৬ মিনিট। দায়ভার শেষ। এমন কি ভাবি যে আমার এই নামাজ কতখানী গ্রহণীয়? আমরা ভাবি না। তাই আজ এই হাল. আর যদি আল্লাহ কে ভালবেশে রসূল সাঃ কে ভালবেসে সুন্নত আকড়ে ধরে স্বলাত আদায় করতাম? তাহলে আমাদে স্বলাত হতো; ফযর সুন্নত সহ, ২০ মিনিট। (কারন ফজরের ফরয নামাজটা অন্ধকার থেকে শুরু করে ফর্সা করা পর্যন্ত পড়া সুন্নত সম্মত) যোহর ৪ রাকাত ফরয, কমের পক্ষে ১৫/২০ মিনিট। আসর ১৫/২০ মিনিট। মাগরেব ১৫ মিনিট, শুধু ফরয। এশা, সময় নিয়ে নিজের মনের মত একটা বড় সূরা.... আমরা কেন আল্লাহ কে ভালবেসে তার এবাদত করি না? কারন আমরা আল্লাহর চেয়ে এই পার্থিব জীবনকে জীবনের প্রয়োজন কে, প্রয়োজনীয় মানুষকে বেশি ভালবাসি। আল্লাহ বলেছেনঃ وَمِنَ النَّاسِ مَن يَ

রব হিসাবে আলেম, নেতা ও বুজুর্গকে শরিক করা

যে ব্যাক্তি আল্লাহর হালালকৃত জিনিস হারাম এবং হারামকৃত জিনিসকে হালাল করার ব্যাপারে অন্ধভাবে আলেম, বজুর্গ ও নেতাদের আনুগত্য করলো, সে মূলত তাদেরকে রব হিসেবে গ্রহণ করলো। আদী বিন হাতেম (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি রাসূল اتَّخَذُوا أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِنْ دُونِ اللَّهِ (التوبة: 31) ‘‘তারা [ইয়াহুদী ও খৃষ্টান জাতির লোকেরা] আল্লাহর পরিবর্তে তাদের ধর্মীয় নেতা ও পুরোহিতদেরকে রব হিসেবে বরণ করে নিয়েছিল।’’ (তাওবা . ৩১) তখন আমি নবীজিকে বললাম, ‘আমরাতো তাদের ইবাদত করি না।’ তিন বললেন, ‘আচ্ছা আল্লাহর হালাল ঘোষিত জিনিসকে তারা হারাম বললে, তোমরা কি তা হারাম হিসেবে গ্রহণ করো না? আবার আল্লাহর হারাম ঘোষিত জিনিসকে তারা হালাল বললেন, তোমরা কি তা হালাল হিসেবে গ্রহণ করো না? তখন আমি বললাম, হ্যা, তিনি তখন বললেন, ‘এটাই তাদের ইবাদত (করার মধ্যে গণ্য।)’ (আহমাদ ও তিরমিজী) এখন দেখুন পিরদের কথা কামেল পীরের আদেশ পাইলে নাপাক শারাব দ্বারাও জায়নামাজ রঙ্গিন করিয়া তাহাতে নামাজ পড়। অর্থাৎ শরীয়তের কামেল পীর সাহেব যদি এমন কোন হুকুম দেন, যাহা প্রকাশ্যে শরীয়তের খেলাফ হয়, তবুও তুমি তাহা নিরাপত্তিতে আ

কোরআন এর ক্রমবিকাশ

আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ আর তিনি পৃথিবীর উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন এবং তাতে বরকত দান করেছেন এবং চারদিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন, তাদের জন্যে (তথ্যস্বরূপ) যারা জিজ্ঞাসা করে। (ফুসসিলাত, ৪১ : ১০) বর্তমান বিজ্ঞানীগণ পৃথিবীর ইতিহাসকে নিম্নবর্ণিত প্রধান চারটি ভাগে বিভক্ত করেন- 1. Pre-Cambrian যুগ : ৬০০ থেকে ৩৩০০ মিলিয়ন বছর। এই যুগে পৃথিবী তার আদি পিন্ড থেকে বিকশিত হয় এবং একটি স্বতন্ত্র গ্রহের রূপ ধারন করে। জীবনের প্রাচুর্য ও বৈচিত্র্যের মাধ্যমে এ যুগের সমাপ্তি ঘটে। 2. Paleozoic যুগ : ২৩০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন বছর। এই যুগে সর্বপ্রথম ভূমিজ লতা-পাতা, উভচর প্রাণী ও সরীসৃপ দৃষ্টিগোচর হয়। এটি হল প্রাচীন প্রাণ যুগ। 3. Mesozoic যুগ : ৬৩ থেকে ২৩০ মিলিয়ন বছর। এটিকে মধ্যপ্রাণ যুগ বলে বিবেচনা করা হয়। মৌসুমী পরিবর্তনের সঙ্গে বৃক্ষ-লতা ভালভাবে খাপ খেয়ে গিয়েছিল। মেরুদন্ডী প্রাণী, স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং পাখিও এ যুগে গোচরীভূত হয়। আর ডাইনোসর ছিল প্রচুর। 4. Conozoic যুগ : বর্তমান সময় থেকে ৬৩ মিলিয়ন বছর। এই যুগ জীবনের বর্তমান ধাপকে অন্তর্ভুক্ত করে। পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক ইতিহাসকে এই

বানোয়াট ও মিথ্যা বা জাল হাদীস

দ্বীন (ধর্ম) হচ্ছে বিবেক, যার দ্বীন (ধর্ম) নেই তাঁর কোন বিবেক নেই। -  হাদীসটি বাতিল।    হাদীসটি নাসাঈ “আল-কুনা” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন এবং তার থেকে দুলাবী “আল-কুনা ওয়াল আসমা” গ্রন্থে (২/১০৪) আবূ মালেক বিশ্‌র ইবনু গালিব সূত্রে যুহরী হতে ... প্রথম বাক্যটি ছাড়া মারফূ’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ইমাম  নাসাঈ হাদীসটি সম্পর্কে বলেনঃ এ হাদীসটি বাতিল, মুনকার। আমি (আলবানী) বলছিঃ  হাদীসটির সমস্যা হচ্ছে এ বিশর নামক বর্ণনাকারী। কারন আযদী বলেনঃ তিনি মাজহূল (অপরিচিত) বর্ণনাকারী। ইমাম যাহাবী “মীযানুল ই’তিদাল” এবং ইবনু হাজার আসকালানী “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে তার কথাকে সমর্থন করেছেন। হারিস ইবনু আবী উসামা তার “মুসনাদ” গ্রন্থে (কাফ ১০০/১-১০৪/১) দাউদ ইবনুল মুহাব্বার সূত্রে বিবেকের ফযিলত সম্পর্কে ত্রিশের অধিক হাদীস উল্লেখ করেছেন। হাফিয ইবনু হাজার আসকালানী বলেনঃ সে সবগুলোই জাল (বানোয়াট)। সেগুলোর একটি হচ্ছে এ হাদীসটি যেমনটি ইমাম সুয়ুতী তার “যায়লুল-লাআলিল মাসনু’ইয়াতি ফিল আহাদীসিল মাওযু’আত” গ্রন্থে (পৃঃ ৪-১০) উল্লেখ করেছেন। তার থেকে হাদীসটি আল্লামা মুহাম্মাদ তাহির আল-হিন্দী মাওযু’ গ্রন্থ “তাযকিরাতুল মাওযু’আত” এর

বানোয়াট ও মিথ্যা বা জাল হাদীস -২

যে ব্যাক্তির সালাত (নামায/নামাজ) তাঁকে তাঁর নির্লজ্জ ও অশোভনীয় কাজ হতে বিরত করে না, আল্লাহর নিকট হতে তাঁর শুধু দূরত্বই বৃদ্ধি পায়।  হাদীসটি বাতিল। যদিও হাদীসটি মানুষের মুখে মুখে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে তবুও সেটি সনদ এবং ভাষা ও উভয় দিক দিয়েই সহীহ নয়। সনদ সহীহ না হওয়ার কারনঃ হাদীসটি তাবারানী “আল-মুজামুল কাবীর” গ্রন্থে (৩/১০৬/২), কাযাঈ “মুসনাদুশ শিহাব” গ্রন্থে (২/৪৩) এবং ইবনু আবী হাতিম বর্ণনা করেছেন, যেমনটি “তাফসীর ইবনু কাসীর” গ্রন্থে (২/৪১৪) এবং “আল কাওয়াকাবুদ দুরারী” গ্রন্থে (৮৩/২/১) লাইস সূত্রে তাউস এর মাধ্যমে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। এ লাইসের কারণে হাদীসটির সনদ দুর্বল – তিনি হচ্ছেন লাইস ইবনু আবী সুলাইম- কারন তিনি দুর্বল বর্ণনাকারী। হাফিয ইবনু হাজার “তাকরীবুত তাহযীব” গ্রন্থে তার জীবনী লিখতে গিয়ে বলেনঃ তিনি সত্যবাদী, কিন্তু শেষ জীবনে তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল। তার হাদীস পৃথক করা যেত না, ফলে তার হাদীস মাতরূক (অগ্রহণযোগ্য)। হায়সামী “মাজমা’উয যাওয়াঈদ” গ্রন্থে (১/১৩৪) একই কারন উল্লেখ করেছেন। তার শাইখ হাফিয আল-ইরাকী “ তাখরীজুল ইহইয়া” গ্রন্থে (১/১৪৩) বলেছেনঃ হাদীসটির সনদ ল

কোরআনুল কারীমের আয়াত গোপন করার পরিণাম

Image
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় অতি দয়ালু  প্রথম কথা,  কোরআন কে সেই ভাবে বুজতে হবে যেইভাবে রসূল সাঃ সাহাবা রাঃ-গণদের বুজিয়েছেন। আমাদেরও সেই ভাবে বুজতে হবে যেইভাবে সাহাবা (রাঃ)-গণ বুজেছেন। তবেই আমরা কোরআন এর মর্ম বুঝে কর্ম করতে পারব ইনশাল্লাহ।  যেই কারনে কাফেরদের সাবধান করতে আল্লাহ ওহী করেছেন রসুল (সাঃ) এর উপর সেই একি কারন যদি আমাদের চরিত্রে থাকে তাহলে আমাদের ও তাদের মাঝে পার্থক্য কি?  যেই ভাবে আল্লাহ আমাদের সাবধান করেছে সেই ভাবে আমাদের সাবধান থাকতে হবে।  আল্লা তা'আলা বলেনঃ  إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنزَلَ اللَّهُ مِنَ الْكِتَابِ وَيَشْتَرُونَ بِهِ ثَمَنًا قَلِيلًا ۙ أُولَٰئِكَ مَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ إِلَّا النَّارَ وَلَا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ [٢:١٧٤] "নিশভয় আল্লাহ যা গ্রন্থে অবতীর্ণ করেছেন তা যারা গোপন করে ও তৎপরিবর্তে নগনয় মূল্য গ্রহন করে, নিশ্চয় তারা স্ব স্ব উদরে অগ্নি ছাড়া অন্য কিছু ভক্ষণ করে না; এবং উত্থান দিবসে আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদেরকে নির্মল করবেন না

ইবাদত এর পূর্বে ঈমান জরূরী

শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় অতি দয়ালু । বিষয়ঃ ইবাদত এর পুর্বে ঈমান ঠিক করা জরূরী। সংকলনেঃ অন্তর বীন আইয়ূব  fb.com/ontor7 শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় অতি দয়ালু । বিষয়ঃ ইবাদত এর পুর্বে ঈমান ঠিক করা জরূরী। সংকলনেঃ অন্তর বীন আইয়ূব  fb.com/ontor7 ইসলামের অতি গুরত্ব ইবাদত হলো স্বলাত এরপরে যাকাত, যার স্বলাত নেই তাঁর ইসলাম নেই। এটা জানা সত্বেও অনেকেই আমরা স্বলাত আদায় করি না, এতে এই হলো যে, আমরা আল্লাহ্‌ সুবহানা তা’আলার হুকুম মানি না। আমরা আল্লাহ্‌ সুবহানা তা’আলার হুকুম এই কারনে মানিনা কারন আমরা আল্লাহ্‌ সুবহানা তা’আলাকে ভয় করিনা অথবা ভালবাসি না, অথবা পছন্দ করি না। যদি ভালবাসার কথা বলি তাহলে আমরা একটি আয়াত দেখে নেই “وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَتَّخِذُ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَنْدَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللَّهِ ۖ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِلَّهِ ۗ وَلَوْ يَرَى الَّذِينَ ظَلَمُوا إِذْ يَرَوْنَ الْعَذَابَ أَنَّ الْقُوَّةَ لِلَّهِ جَمِيعًا وَأَنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعَذَابِ” অনুবাদঃ  আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং ত

যা আমরা উলটো বুজেছি কোরআন এর আয়াত

আমরা অনেকের মুখেই শুনতে পাই যে আল্লাহ তা'আলা সর্বত্র বিরাজমান। এই কথা সাধারন থেকে আলেম সমাজও বলে থাকেন। আর আমাদের আলেমদের দলীল হলোঃ আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ  وَلِلَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ ۚ فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ وَاسِعٌ عَلِيمٌ [٢:١١٥]  অর্থাৎঃ "পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। অতএব তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও আল্লাহ বিরাজমান। নিশ্চয় আল্লাহ সর্ববজ্ঞ।" [সূরা আল বাক্বারা,২/১১৫]  অবতীর্ণ হওয়ার কারণ  এ আয়াতে রসূল (সাঃ-কে এবং তাঁর সাহাবীবর্গকে (রাঃ) সান্ত্বনা দেয়া হচ্ছে, যাদেরকে মক্কা থেকে তারীয়ে  দেয়া হয়ছে ও তাঁর মসজিদে প্রবেশ করা হতে বিরত রাখা হয়েছে। মক্কায় অবস্থান কালে রসূলুল্লাহ (সাঃ) বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে নামাজ পড়তেন। তখন কা'বা শরীফও সামনে থাকতো। মদীনায় আগমনের পর ১৬/১৭ মাস পর্যন্ত বায়তুল মুকাদ্দাসের মুখ করেই তারা নামায পড়েন। কিন্তু পরে আল্লাহ পাক কা'বা শরীফের দিকে মুখ করে নামায পড়ার নির্দেশ দেন।  কুরআন মাজীদে সর্বপ্রথম রহিতকৃত (মানসুখ) হুকুম  ইমাম আবূ আবীদ কাসিম বিন সালাম (রঃ)স্বীয় পুস্তক 'নাস

কর্মের মাধ্যমে কালেমার অর্থ পরিবর্তন

আমরা যখন কালেমা পড়ে ঘোষণা দেই – লা ইলাহা ইল্লা আল্লাহ – তখন আমরা শপথ করি, “আমার জীবনে আল্লাহ্‌র থেকে বড় আর কেউ নেই। আজ থেকে আমার প্রতিটা সিদ্ধান্ত এবং কাজে আল্লাহ থাকবেন সবার আগে, তারপরে অন্য কিছু। আমি অন্য কোনো কিছুকে আল্লাহ্‌র থেকে বেশি গুরুত্ব দিবো না।” কিন্তু তারপর যা ঘটে তা হচ্ছে অনেকটা এরকমঃ মেহমান এসেছে, তুমুল আড্ডা চলছে দেশের গণ জাগরণ নিয়ে, ওদিকে মাগরিবের সময় পার হয়ে যাচ্ছে, “আহ্‌ হা, মাগরিবের সময় দেখি শেষ হয়ে গেল। কিন্তু এখন উঠে গেলে ওরা আবার কি মনে করে। তারচেয়ে রাতে একবারে ঈশার সাথে পড়ে নিবো। আল্লাহ্‌ মাফ করুন।” বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার আগে রঙবেরঙের সাজে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে, “মাথায় ঘোমটা দিলে কেমন খ্যাঁত মনে হচ্ছে। থাক, ঘোমটা ছাড়াই যাই, আত্মীয় স্বজনরা আবার কি সব বলাবলি করে। বান্ধবীরা দেখলে হাসা-হাসি করবে। ফুল হাতা ব্লাউজটাও একদম মানাচ্ছে না। দেখি হাফ হাতা পড়ি, স্মার্ট লাগবে। মাত্র এক রাতের ব্যাপার, কিছু হবে না, আল্লাহ্‌ মাফ করবেন।” আমীর খানের ছবি লাগানো আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একটা লম্বা ফুল-হাতা শার্ট আর একটা স্লিম-ফিট টি-শার্ট হাতে নিয়ে, “এই লম্বা জামাটা আজকাল আর চলে না, লোকজন