অধিকাংশ লোকের ব্যাপারে আল্লাহর বক্তব্য





শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

আমাদের সমাজে প্রচলন আছে বেশিরভাগ লোক যা করে তাই ঠিক। বুঝানোর জন্য এমন ও বলে থাকে যে "পাঁচজন যেখানে আল্লাহ ও সেখানে"
মানে হলো অধিকাংশ লোক যা করে সেটাই ঠিক। 
আসলেই কি তাই? আমরা মানুষ স্বার্থের টানে মিথ্যা বলতেও দ্বিধা করি না। আর ইসলামে প্রমাণ ব্যতীত কোন কথার-ই মূল্য নেই। তাই ঐ সমস্ত কথা শুনতে যতই ভাল লাগুক শুধু কথার কথা কাজের নয়। গ্রহনীয় নয়। আল্লাহ সুবহানা তা'লার বাণী কোরআনুল কারীম এ কোন মিথ্যা নেই। প্রথমে আমরা কোরআন থেকে দেখব এই অধিকাংশ বা বেশিরভাগ লোকের ব্যাপারে আল্লাহ কি বলেছে। 

আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ
أَوَكُلَّمَا عَاهَدُوا عَهْدًا نَّبَذَهُ فَرِيقٌ مِّنْهُم ۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ [٢:١٠٠]
"কি ব্যাপার! যখনই তারা কোনো ওয়াদাতে অঙ্গীকার করেছে, তাদের একদল তা প্রত্যাখ্যান করেছে? না, তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।"
[সূরা বাক্বারাঃ ২/১০০] 

أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَشْكُرُونَ
"অধিকাংশ লোকেই শুকুরানা আদায় করে না।"[সূরা বাক্বারাঃ ২/২৪৩]

كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ ۗ وَلَوْ آمَنَ أَهْلُ الْكِتَابِ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُم ۚ مِّنْهُمُ الْمُؤْمِنُونَ وَأَكْثَرُهُمُ الْفَاسِقُونَ [٣:١١٠]
"তোমরা মানবগোষ্ঠীর জন্য এক শ্রেষ্ঠ সমাজরূপে উত্থিত হয়েছ, -- তোমরা ন্যায়ের পথে নির্দেশ দাও ও অন্যায় থেকে নিষেধ করো, আর আল্লাহ্‌তে বিশ্বাস রাখো। আর গ্রন্থপ্রাপ্তরাও যদি ঈমান আনতো তবে তাদের জন্য ভালো হতো! তাদের মধ্যে কেউ কেউ বিশ্বাসী, কিন্তু তাদের বেশির ভাগ দুষ্টলোক।[সূরা আল ইমরানঃ ৩/১১০]

۞ لَّا خَيْرَ فِي كَثِيرٍ مِّن نَّجْوَاهُمْ إِلَّا مَنْ أَمَرَ بِصَدَقَةٍ أَوْ مَعْرُوفٍ أَوْ إِصْلَاحٍ بَيْنَ النَّاسِ ۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ ابْتِغَاءَ مَرْضَاتِ اللَّهِ فَسَوْفَ نُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا [٤:١١٤]
তাদের অধিকাংশ সলা-পরামর্শ ভালনয়; কিন্তু যে সলা-পরামর্শ দান খয়রাত করতে কিংবা মানুষের মধ্যে সন্ধি স্থাপন করতে তা স্বতন্ত্র । যে এ কাজ করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে আমি তাকে বিরাট সওয়াব দান করব। [সূরা নিসাঃ ৪/১১৪]

وَأَنَّ أَكْثَرَكُمْ فَاسِقُونَ
"আর তোমাদের অধিকাংশই নাফরমান" [সূরা আল মায়িদাহঃ ৫/৫৯] 

আরো দেখুন পবিত্র কোরআন এর... 
সূরা আল মাতিদাহঃ ৭১, ১০৩
সূরা আনআমঃ ৩৭,১১১, ১১৬
সূরা আল আরাফঃ ১৭, ১০২, ১৮৭ 
সূরা আনফালঃ ৩৪
সূরা আত তওবাহঃ ৮
সূরা ইউনুসঃ ৩৬
সূরা ইউসুফঃ ২১,৩৮, ৪০,১০৩
সূরা আর রাদঃ ১
সূরা আন নাহলঃ ৩৮,৮৩, ১০১
সূরা বনী-ইসরাঈলঃ ৮৯, 
সূরা আল আম্বিয়াঃ ২৪, 
সূরা আল মুমিনুনঃ ৭০
সূরা আল ফুরকানঃ ৪৪, ৫০
সূরা শু'আরাঃ ৮, ৬৭, ১০৩, ১২১, ১৩৯, ১৫৮, ১৭৪, ১৯০, 
সূরা আন নমলঃ ৬১, ৭৩, ৭৬
সূরা আল কাসাস, ৫৭, 
সূরা আনকাবুতঃ ৬৩, 
সূরা আর রুমঃ ৬, ৩০, ৪২, 
সূরা লোকমানঃ ২৫, 
সূরা সাবা ৩৬, ৪১, 
সূরা ইয়াসীনঃ ৭,
সূরা আস সফফাতঃ ৭১, 
সূরা আয যুমারঃ ২৯, ৪৯, 
সূরা আল মুমিনঃ ৫৭, ৫৯, 
সূরা হা মিম সাজদাহঃ ৪
সূরা যুখরুফঃ ৭৮, 
সূরা আদ দোখকানঃ ৩৯, 
সূরা আল জাসিয়াঃ ২৬, 
সূরা হুজুরাতঃ ৪, 
সূরা আত ত্বুরঃ ৪৭, 
সূরা আল হাদীদঃ ১৬, ২৬, ২৭,- তাদের অধিকাংশই পাপাচারী। 


আল্লাহু আলাম 


Comments

Popular posts from this blog

কর্মের মাধ্যমে কালেমার অর্থ পরিবর্তন

বানোয়াট ও মিথ্যা বা জাল হাদীস

তিনটি বিশ্বাস সকল ধর্মের মানুষ-ই মানত