আল্লাহর নয়, এখন চলে মানুষের বিধান

   
আমার জন্মদাতা পিতা-মাতা বেশ ভাল করেই জানেন কোন পথে গেলে আমি ভাল থাকব আর কোন পথে গেলে খারাপ, তাই তারা ছোট বেলা থেকে সকলের পিতা মাতাই সকলকে একটি দিক বলে দেয়, অমুকের সাথে যেও না, অমুক ভাল না, অমুক থেকে দূরে থেক, ঐ কাজ থেকে দূরে থাক, ঐ গুলা ভাল কাজ না, ইত্যাদি আমদের কে সতর্ক করে দেয়, আমাদের লেখা পড়া শিখিয়ে আমাদের জ্ঞানী ও বিচুক্ষন করার ভাবনায় থাকে যেন আমরা ভবিষ্যতে কোন সমস্যা বা অভাবে না পরি। আমাদের সাক্সেস দেখতেচায় আমাদের পিতা ও মাতা । সকলের বেলায়ই এমন শুধুই শুভ কামনা। যদি আমরা তাদের কথামত না চলি তাহলে আমাদের সাথে অনেক ঝগরার বিচার, সেই বিচার এমন কি দৌরানী ও মার ও খেতে হয় আমাদের ।
তাই এই দুনিয়ার সকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা একমাত্র আল্লাহ্‌ তা'আলা, আল্লাহ্‌ সুবহানা তা'আলাই ভাল জানেন আমরা কোন পথে চললে ভাল থাকব আর কোন পথে খারাপ। তাই তিনি আমাদের সতর্ক করেছেন অনেক কিছু থেকে, আর যেহেতু এই দুনিয়া ও দুনিয়ার সিকল কিছুর সৃষ্টিকর্তা তাই তিনিই আল্লাহ্‌ তা'আলা হলেন একমাত্র বিধান দাতা। আমরা যদি আল্লাহর বিধান মেনে চলি তাহলে আমাদের চলার পথে ও আখেরাতে কোন সমস্যা হবেনা ইনশাল্লাহ,
তাই আজ হাজির হয়েছি সেই বিধানদাতার এক বিধান নিয়ে যার এক চুল পরিমান ও আমাদের দেশে চলমান নেই। আমরা তাঁর পুরু বিধানই পরিবর্তন করে ফেলেছি। আল্লাহর কালাম কোরানুল কারীম থেকে সেই একটি আয়াতঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِصَاصُ فِي الْقَتْلَى ۖ الْحُرُّ بِالْحُرِّ وَالْعَبْدُ بِالْعَبْدِ وَالْأُنثَىٰ بِالْأُنثَىٰ ۚ فَمَنْ عُفِيَ لَهُ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ فَاتِّبَاعٌ بِالْمَعْرُوفِ وَأَدَاءٌ إِلَيْهِ بِإِحْسَانٍ ۗ ذَٰلِكَ تَخْفِيفٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَرَحْمَةٌ ۗ فَمَنِ اعْتَدَىٰ بَعْدَ ذَٰلِكَ فَلَهُ عَذَابٌ أَلِيمٌ [٢:١٧٨] ওহে যারা ঈমান এনেছ! তোমাদের প্রতি হত্যার ক্ষেত্রে প্রতিশোধের বিধান দেয়া হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তির উপরে স্বাধীন ব্যক্তির ক্ষেত্রে, আর দাসের উপরে দাসের ক্ষেত্রে, আর নারীর উপরে নারীর ক্ষেত্রে। তবে যাকে কিছুটা রেহাই দেয়া হয় তার ভাইয়ের তরফ হতে, তাহলে বিচার হবে ন্যায্যভাবে, আর তার প্রতি ক্ষতিপূরণ দিতে হবে উদারভাবে। -- এটি তোমাদের প্রভুর কাছ থেকে লঘু-ব্যবস্থা ও করুণা। কাজেই এরপরে যে সীমালঙ্ঘন করবে
তার জন্য রয়েছে ব্যথাদায়ক শাস্তি।
এখানে আল্লাহ্‌ তা'আলা প্রত্যেক মুসলিম কে বিধান দিয়েছে, এই বিধান কি আমরা এক আনা ও মানি? না ইসলাম প্রচলন এর পর থেকে কখন ও কি এই বিধান চালু করার উদ্দেগ দেখা গেসে? আমার জানা মতে না। তাহলে এত চিন্তাবীদ এত ক্ষমতা কিসের জন্য? সব কি এই বিধান বাতিল এর জন্য? আমরা কি আল্লাহর বিধানে সন্তুষ্ট নই?
শিরক কাকে বলে?
শুধুই মূরতি পুজা করলেই কি শিরক?
মাজার পুজা করলেই কি শিরক?
কবর পুজা করলেই কি শিরক?
আল্লাহ্‌ তা'আলা বলেছেনঃ
"তোমরা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে সমকক্ষ করো না"
[সূরা বাক্বারা ২, আয়াত ২২]

এখানে আল্লাহ্‌ তা'আলা বিধান দিলেন হত্যার বদলে হত্যা, আর আমাদের বিধানমতে হলো হত্যার বদলে জেল বা মুক্তি।
আল্লাহর বিধান পরিবর্তনকারি কি আল্লাহর সমকক্ষ নয়?
আল্লাহর সমক্ষ করা কি শিরক নয়?

আজ আমাদের সমাজ শুধু ব্যাস্ত আমিন আর রাফউল ইয়াদাইন নিয়ে। অথচ শিরক করলে যে জাহান্নামে যেতে হবে সেই কথা কেউ বলে না।
আল্লাহর বিধান ফিরিয়ে আনতে হবে সে কথা কেউ বলে না।
আল্লাহর প্রতি শুক্ষ ঈমান আনতে হবে এই কথা কেউ বলে না।
আখেরাতে সেই ব্যাক্তির চেয়ে সম্মানী আর কে যে, জিহাদ করে শহীদ হয়েছে, অথচ সেই জিহাদ ই আজ পন্ড করে দিয়ে ইসলাম কায়েম করতে চায় মুসলিম। আজ আমাদের শিখানো হচ্ছে মনের জিহাদই বড় জিহাদ।
যত সাহাবী ছিল একজন সাহাবীর নাম জানতে চাই যে বলেছে , হে আল্লাহর রসূল সাঃ, আমি যুদ্ধে যাব না, আমি মনের সাথে জিহাদ করছি। সারা জীবনেও খুজে পাবেন না। সবচেয়ে জরুরী যে বিষয় তা হলো ঈমান, সেই ঈমানই আজ ঠিক নাই, আমরা ব্যস্ত আছি মাস'আলা নিয়ে।
শেষ কথা, সকল বিধান বাতিল কর, ওহীর বিধান কায়েম কর।
আল্লাহু আলাম।

Comments

Popular posts from this blog

তিনটি বিশ্বাস সকল ধর্মের মানুষ-ই মানত

কর্মের মাধ্যমে কালেমার অর্থ পরিবর্তন

উম্মাহ