স্বলাত/ নামাজ



আমাদের দেশে ২ ধরনের নামাজ আদায় হয়, মহি লা ও পুরুষের আসলেই কি ভেদাভেদ আছে?
আলহামদুলিল্লাহ। সঠিক মতানুযায়ী মহিলাদের নামায ও পুরুষের নামাযের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। কিছু কিছু ফিকাহবিদ যে পার্থক্যগুলো উল্লেখ করেছেন সেগুলোর পক্ষে কোন দলিল নেই। প্রশ্নে আপনি যে হাদিসটি উল্লেখ করেছেন “তোমরা আমাকে যেভাবে নামায পড়তে দেখ সেভাবে নামায আদায় কর” এর বিধান সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করবে। ইসলামী বিধি-বিধানগুলো নারী-পুরুষ উভয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। তবে, দলিল যদি বিশেষ কোন বিধানকে খাস করে সেটা ভিন্ন কথা। অতএব, সুন্নাহ হল— রুকু, সেজদা, ক্বিরাত ও বুকে হাত রাখা ইত্যাদি সবক্ষেত্রে মহিলার নামায পুরুষের নামাযের মত। অনুরূপভাবে রুকুকালে হাঁটুতে হাত রাখার পদ্ধতিও একই। সেজদাকালে কাঁধ বরাবর কিংবা কান বরাবর জমিনে হাত রাখার পদ্ধতিও একই। রুকুকালে পিঠ সোজা রাখার পদ্ধতিও অভিন্ন। রুকু ও সেজদাতে যা পড়া হবে সেগুলো এক। রুকু ও প্রথম সেজদা থেকে উঠে যা বলবে সেটাও এক। এ সব ক্ষেত্রে নারীর নামায পুরুষের নামাযের ন্যায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পূর্বোক্ত হাদিসের ভিত্তিতে: “তোমরা আমাকে যেভাবে নামায পড়তে দেখ সেভাবে নামায আদায় কর”[সহিহ বুখারী] আর ইক্বামত ও আযান: এ দুইটি নামাযের বাহিরের বিষয়। ইক্বামত ও আযান পুরুষের জন্য খাস। এই মর্মে দলিল উদ্ধৃত হয়েছে। পুরুষেরা ইক্বামত ও আযান দিবে। আর নারীদের ইক্বামত ও আযান নেই। উচ্চস্বরে ক্বিরাত পড়া: মহিলারা ফজর, মাগরিব ও এশার নামাযে উচ্চস্বরে ক্বিরাত পড়তে পারেন। ফজরের দুই রাকাতে উচ্চস্বরে ক্বিরাত পড়বেন। মাগরিবের প্রথম দুই রাকাতে উচ্চস্বরে ক্বিরাত পড়বেন। এশার প্রথম দুই রাকাতে উচ্চস্বরে ক্বিরাত পড়বেন, যেভাবে পুরুষেরা করে থাকে।
 
[সমাপ্ত] মহামান্য শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায (রহঃ)
 [ফাতাওয়া নুরুন আলাদ দারব (২/৭৯৯)]

Comments

Popular posts from this blog

তিনটি বিশ্বাস সকল ধর্মের মানুষ-ই মানত

উম্মাহ

কর্মের মাধ্যমে কালেমার অর্থ পরিবর্তন