Posts

Showing posts from October, 2016

অধ্যায় "আখেরাতের জীবন অন্তহীন"

  ২। অধ্যায় "আখেরাতের জীবন অন্তহীন"   আলহামদুলিল্লাহ।   আল্লাহ তাআলা এ দুনিয়ার ধ্বংস এবং দুনিয়াবাসীর মৃত্যু নির্ধারণ করে রেখেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: “ভূপৃষ্ঠের সবকিছুই ধ্বংসশীল। একমাত্র সম্মান ও শ্রদ্ধাযোগ্য আপনার প্রতিপালকের চেহারা ছাড়া।”।[সূরা আর-রহমান, আয়াত: ২৬-২৭] তিনি আরও বলেন: “প্রত্যেক প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদনকারী। এরপর তাদেরকে আমার দিকেই ফিরে আসতে হবে।”[সূরা আল-আনকাবুত, আয়াত: ৭৫]   এরপর আল্লাহ তাআলা মানুষকে পুনরুত্থিত করবেন। এবং তাদেরকে চিরস্থায়ী জীবন দান করবেন; যার কোন শেষ নেই। প্রত্যেকের আমল অনুযায়ী তাদের হিসাব নিবেন। নেককারকে তার নেকি অনুপাতে প্রতিদান দিবেন। বদকারকে তার বদ অনুযায়ী প্রতিদান দিবেন। এরপর মানুষ দুই ভাগ হয়ে যাবে। একভাগ জান্নাতে যাবে; অপরভাগ জাহান্নামে যাবে। জান্নাতবাসী চিরস্থায়ী জান্নাতে থাকবে। জাহান্নামবাসী চিরস্থায়ী জাহান্নামে থাকবে।   কুরআনে কারীম ও সহিহ হাদিসে এ মর্মে অনেক সুস্পষ্ট দলিল রয়েছে–   ১. আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, অবশ্য আমি প্রবিষ্ট করাব তাদেরকে জান্নাতে, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহরসমূহ। সেখানে

অধ্যায় "আখেরাতের জীবন অন্তহীন"

  ২। অধ্যায় "আখেরাতের জীবন অন্তহীন"   আলহামদুলিল্লাহ।   আল্লাহ তাআলা এ দুনিয়ার ধ্বংস এবং দুনিয়াবাসীর মৃত্যু নির্ধারণ করে রেখেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন: “ভূপৃষ্ঠের সবকিছুই ধ্বংসশীল। একমাত্র সম্মান ও শ্রদ্ধাযোগ্য আপনার প্রতিপালকের চেহারা ছাড়া।”।[সূরা আর-রহমান, আয়াত: ২৬-২৭] তিনি আরও বলেন: “প্রত্যেক প্রাণ মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদনকারী। এরপর তাদেরকে আমার দিকেই ফিরে আসতে হবে।”[সূরা আল-আনকাবুত, আয়াত: ৭৫]   এরপর আল্লাহ তাআলা মানুষকে পুনরুত্থিত করবেন। এবং তাদেরকে চিরস্থায়ী জীবন দান করবেন; যার কোন শেষ নেই। প্রত্যেকের আমল অনুযায়ী তাদের হিসাব নিবেন। নেককারকে তার নেকি অনুপাতে প্রতিদান দিবেন। বদকারকে তার বদ অনুযায়ী প্রতিদান দিবেন। এরপর মানুষ দুই ভাগ হয়ে যাবে। একভাগ জান্নাতে যাবে; অপরভাগ জাহান্নামে যাবে। জান্নাতবাসী চিরস্থায়ী জান্নাতে থাকবে। জাহান্নামবাসী চিরস্থায়ী জাহান্নামে থাকবে।   কুরআনে কারীম ও সহিহ হাদিসে এ মর্মে অনেক সুস্পষ্ট দলিল রয়েছে–   ১. আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, অবশ্য আমি প্রবিষ্ট করাব তাদেরকে জান্নাতে, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহরসমূহ। সেখানে

মেরাজের ঘটনায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য নবীদের ইমাম হওয়ার হেকমত

Image
মেরাজের ঘটনায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য নবীদের ইমাম হওয়ার হেকমত   আলহামদুলিল্লাহ।   মসজিদে আকসাতে (যে মসজিদ ইব্রাহিম খলিল আঃ এর পরে আগত সকল নবীর ইবাদত ঘর) অন্য নবীদের ইমাম হয়ে আমাদের নবীর নামায আদায় করার কারণ হচ্ছে এটা প্রমাণ করা যে, আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবচেয়ে বড় নেতা; সবচেয়ে প্রাধান্যযোগ্য; হাফেয ইবনে কাছির (রহঃ) সুস্পষ্টভাবে এ কথা সূরা বনি ইসরাইলের তাফসিরের প্রথমেই উল্লেখ করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক সকল নবীর ইমাম হয়ে নামায আদায় করা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন: “এরপর তাঁর মর্যাদা ও ফজিলত প্রকাশ করার জন্য ইমামতির ক্ষেত্রে তাঁকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এটি ছিল জিব্রাইল (আঃ) এর ইঙ্গিত মোতাবেক।”   কোন সন্দেহ নেই আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই প্রাধান্য পাওয়ার উপযুক্ত; নবীদের সেরা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “আমি কেয়ামতের দিন সকল বনী আদমের নেতা হব। সর্বপ্রথম আমার কবর উন্মুক্ত করা হবে। আমি হব সর্বপ্রথম সুপারিশকারী ও সর্বপ্রথম যার সুপারিশ গৃহীত হবে।”[সহিহ মুসলিম (২২৭৮)]   ক