আমার সম্পর্কে

নামঃ অন্তর বীণ আইয়ুব; মুহাম্মদ মোখলেসুর রহমান 
ডাক নামঃ অন্তর - জীবন
থানাঃ কেরাণীগঞ্জ
জেলাঃ ঢাকা
বাংলাদেশ।


কেরাণীগঞ্জ রামেরকান্দা ইস্পাহানী উচ্চবিদ্যালয় ও ডিগ্রি কলেজেই লেখা পড়া করার পর বিদেশে পারি জমাই প্রায় ৫বছরের চেয়েও বেশি সৌদি আরবে কাটাই সেখানে অনেক কিছুই ভিন্নতা শিখলাম যা আমাদের দেশের ইবাদত আমল এর চেয়ে ভিন্ন । আমাদের দেশে বেশিরভাগ সমাজেই তা- বিরুধীতা করে থাকে। আল্লাহ সুবহানা তা'আলা মক্কা ও মদিনা সফর করার তৌফীক এনায়েত করেছেন আলহামদুলিল্লাহ। এবং অনেক বার উমরাহ করার পাশাপাশি হজ্জ করার ও তৌফীক দান করেছেন, সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।

ইসলামে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা জরুরী, যখন ইমাম, মাওলানা ও মুফতীদের ওয়াজ বক্তব্য শুনতাম, ৩টি অনুভূতী কাজ করত মনে, তা হলো,
১] ঘটানা ইসলামিক ঠিক আছে।
২] ঘটনা ইসলামিক বা বানোয়াট হতে পারে।
৩] এমন হটনা ইসলামে হয়েছে ? মনে হয় না...

তাই ইসলাম নিয়ে চর্চা করা, পড়া-জানা জরুরী ।
যখন সৌদি ছিলাম অনেক সঠিক জানলাম যা আমাদের দেশের সাথে অনেক আমলই মিল নাই, এমন কি আক্বিদাহ/ বিশ্বাসগত ভাবেও অনেক গরমিল।
দেশে এসে সেখানকার আমল এবাদত এর সাথে মিলে না, আসতে আসতে আবার ফিরে যাই বাপ-দাদার ধর্মে; কারন ধর্ম নিয়ে আমি তেমন গবেষনা করতে পারি নাই, সেটা ছিল আমার ব্যার্থতা।
মাত্র এক বছর কয়েকমাস পরে আবার আল্লাহ সুবহানা তা;আলা আমাকে নিয়ে এলেন সাউথ আফ্রিকা, এখানে কয়েক বছর ব্যাবসা করার পর প্রায় ২০১২ তে অনলাইনে এক বক্তার ওয়াজ শুনে আবার যেন সৌদি আরবের আমল আর এবাদত তাজা হয়েগেল, বুজতে পারলাম সৌদি থাকাকালীন যা দেখেছি, যা শিখেছি আর যতটুকু বুজেছি সেটাই ছিল সত্য, কোরআন ও সুন্নাহ মোতাবেক।
এ যেন আল্লাহর তরফ থেকে নেয়ামত এর বাতাস বইছে আমার ও বন্ধুদের মনে; আর দেরি করা ঠিক হবে না ভাবলাম ।
তাই তার আরো কয়েকটা লেকচার ডাউনলোড করলাম, শুনে আরো ভাল ও পরিবর্তন এলো, সকল দিক দিয়ে, আমলে ইবাদতে ও হালাল হারামের উপর মোটামোটি সবদিকেই...
যার লেকচার শুনে আমাদের পরিবর্তন ও নিজেকে এবার মুসলিম বলতে পারি, তিনি আর কেউ নন তিনি হলেন শাইখ মতিউর রহমান মাদানী। 

যে কোন লেকচার বা ইসলামিক সংবাদ গ্রহন করার পূর্বে যাচাই করা যরুরী...

তাই এবার তার লেকচার কথাগুলা যাচাই করার পালা...
সর্বপ্রথম শুরু করলাম কোরান এর অনুবাদ দিয়ে। সেটি ছিল দারুস সালাম প্রকাশনী সৌদি প্রিন্ট অনুবাদ করেছেন;  প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ মুজিবুর রহমান এর পর পড়লাম আহসানুল বায়ান। এর পর যেই অনুবাদটি পড়া হলো তা হলো, আল কোরআন একাডেমি পাবলিকেশন্স এর  হাফেজ মুনির উদ্দিন আহমদ এর  সহজ সরল বাংলা অনুবাদটি।
তাফসীর এর মধ্যে একটি পরে যাচ্ছি তা হলো তাফসীর ইবনে কাছির

এরপরে হাদীস গ্রন্থ এর শুরু...

নিয়ে এলাম, সহীহুল বুখারী... যেই রেফারেন্স দিত তা যাচাই করলাম...
যাচাই করতে করতে এক সময় মনে ধরলে কথা তো ঠিকই আছে তবে তার কথা যাই যাচাই করেছি আপাতত ঠিকই আছে, কেন না আমিই সম্পূর্ন বুখারী টা পড়ে নেই...।
শুরু হলো বুখারি পড়া... পেলাম অনেক নতুন কিছু যা আমাদের সমাজে নেই বল্ললেই চলে, বা উঠেগেসে, বা ইমামদের জিজ্ঞাস করলে জবাব মিলেঃ আমাদের মাজহাবে নেই।
এবার আবার নিয়ে এলাম মুসলিম সহ তিরমিযী ... মুসলিম দিয়ে ২য় হাদীসের গ্রন্থ পড়া শুরু করলাম প্রায় হাদীসগুলুই এক হুবুহু মিল পেলাম, ... এরপর জানতে পারলাম ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম এর জীবনী । নিজেকে ইসলামের কিছুই মনে হচ্ছে না এত বড় বিজ্ঞ লোকদের জীবনী পরে।
নিজেকে কি বানিয়েছি ? আর আল্লাহ আমাকে কেন দুনিয়ায় প্রেরন করেছেন...
এভাবে সিরিয়াল ভাবে পড়তে পড়তে কিতাবুস সিত্তাহ পড়ার পর ছোট ছোট অনেক কিতাবই পাঠ করার পর; অনেক কিছুই জানতে পারি যা আমাদের সমাজে এসে পৌছে নি, বা মাজহাবের নামে এর আগেই সুন্নাহ কে বিদ'আত দিয়ে গলাটিপে মেরে ফেলা হয়েছে ।

আমরা চারজন ছিলাম আমাদের ঈমান, আমল সব কুরআন সুন্নাহ মতে চালানো শুরু করলাম, আমরা সাউথ আফ্রিকা যেখানে থাকি সেখান থেকে মসজিদ অনেক দূর, তাই আমরা স্থীর করলাম কেন না আমরাই একটা স্থান রেডি করে নিজেরা কুরআন সুন্নাহ এর অনুযায়ী স্বলাত আদায় করা শুরু করি ও জুম্মা ও আমরাই পড়ি, তাই ঠিক করে দিলেন আল্লাহ তা'আলা।

এবার খুতবা প্রেক্টিস এর পালা...
এবার সরাসরি যোগাযোগ শায়খ মতিউর রহমান মাদানীর সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে...।
তার কাছ থেকে ফোনে শিক্ষা নিলাম খুতবা প্রদান এর।
এরপরেই আমাদের জুম্মা শুরু হলো আল্লাহর রহমতে সাউথ আফ্রিকা কুরআন সুন্নাহর আলোকে...
সকল প্রসংশা একমাত্র আল্লাহর জন্য ও আল্লাহ শায়খ মতিউর রহমান মাদানী কে উত্তম জাযায়ে খায়ের দান করেন আমিন।

ইসলাম গবেষনায় কেটেযায় প্রায় ৩ বছর... একদিন হটাত করেই কল রিসিভ করলেন না, উস্তাদ মতিউর রহমান মাদানী...
পরের দিন আবার ট্রাই করলাম... নট রিসিভ।
এভাবেই কেটেগেল প্রায় সপ্তাহ, মন ক্ষুন্ন  হয়ে গেল, কি করা যায়, কেন কল রিসিভ করেনা।
সৌদি রত কয়েকজন কে দিয়ে যোগাযোগ এর চেষ্টা করেও বিফল হলাম কারন তারা ইসলামিক চিন্তায় ছিল না ।

এরপরে নাম্বার পেলাম শাইখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ এর... তার সাথে কথা বলে সংক্ষেপে আমার কথা জানালাম; তিনি অবগত হয়ে ও খুশি হয়ে আমাকে কল করার অনুমতি দিলেন, এরপরে থেকে শুরু হয়ে আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ এর সাথে কথাপকথোন, ফোনালাপ ও তার লেকচার শ্রবন করা।

এরপর সিরিয়াল্ভাবে আহলে হাদীস এর লেকচার ও বই সমূহ... চলতে থাকে... ইসলামে চর্চা, গবেষনা...

২০১৫, এবার চিন্তা হলো গ্রামের কথা...
এখনও আমাদের গ্রামে বাপ-দাদার ধর্ম চলে, নাহ এভাবে চললে তো তারা কুরআন সুন্নাহর দাওয়াত পাবে না, তাই এবার আমার সফর এর দিক, আমার সমাজ।
সমাজের মানুষ আগেই অবগত আছেন আমার ও আমাদের ব্যাপারে।

যাই হোক শুরু হলো কুরআন সুন্নাহর কথা সমাজে ও এলাকায় ।
এরপর কুরআন সুন্নাহর তাবলীগ এ যোগদান করলাম, যাদের সাথে তাবলীগ করেছি...
শায়খ আমানুল্লাহ মাদানী, মুরাদ বিন আমজাদ, আব্দুস সামাদ মাদানী ও অন্যান্য ... আরো অনেকেই।
ইনশা'আল্লাহ আমাদের সমাজেও একদিন পরিপূর্ণভাবে কুরআন সুন্নাহ মতে ইমান আমল চালু হবে, ইসলামের ঝান্ডা উঠেছে... উরবেই ইনশাল্লাহ।
আপনাদের সকলের কাছে দুয়া চেয়ে সংক্ষিপ্ত জীবনী আপাতত এখানেই।

হে আল্লাহ আমাদের হেদায়েতের উপর অবিচল রাখুন।
আমার মা-বাবার গুনাহ ক্ষমা করে তাদের জান্নাত দান করুন।
তাদের কবর এর আযাব হতে রক্ষা করুন, এবং আমাদের কে নেক সন্তান দান করুন,
সকল প্রকার মুসীবত হতে আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন।
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়াবীহামদিকা, ওয়াতাবারাসমুকা, ওয়াতা আলা যাদ্দুকা ওয়া লা- ইলাহা গাইরুক।
আমিন।
আসসালামু আলাইকুম।

Comments

Popular posts from this blog

তিনটি বিশ্বাস সকল ধর্মের মানুষ-ই মানত

কর্মের মাধ্যমে কালেমার অর্থ পরিবর্তন

উম্মাহ