কোরআনুল কারীমের আয়াত গোপন করার পরিণাম


শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুনাময় অতি দয়ালু 
প্রথম কথা, 
কোরআন কে সেই ভাবে বুজতে হবে যেইভাবে রসূল সাঃ সাহাবা রাঃ-গণদের বুজিয়েছেন। আমাদেরও সেই ভাবে বুজতে হবে যেইভাবে সাহাবা (রাঃ)-গণ বুজেছেন। তবেই আমরা কোরআন এর মর্ম বুঝে কর্ম করতে পারব ইনশাল্লাহ। 
যেই কারনে কাফেরদের সাবধান করতে আল্লাহ ওহী করেছেন রসুল (সাঃ) এর উপর সেই একি কারন যদি আমাদের চরিত্রে থাকে তাহলে আমাদের ও তাদের মাঝে পার্থক্য কি? 
যেই ভাবে আল্লাহ আমাদের সাবধান করেছে সেই ভাবে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। 

আল্লা তা'আলা বলেনঃ 
إِنَّ الَّذِينَ يَكْتُمُونَ مَا أَنزَلَ اللَّهُ مِنَ الْكِتَابِ وَيَشْتَرُونَ بِهِ ثَمَنًا قَلِيلًا ۙ أُولَٰئِكَ مَا يَأْكُلُونَ فِي بُطُونِهِمْ إِلَّا النَّارَ وَلَا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ [٢:١٧٤]
"নিশভয় আল্লাহ যা গ্রন্থে অবতীর্ণ করেছেন তা যারা গোপন করে ও তৎপরিবর্তে নগনয় মূল্য গ্রহন করে, নিশ্চয় তারা স্ব স্ব উদরে অগ্নি ছাড়া অন্য কিছু ভক্ষণ করে না; এবং উত্থান দিবসে আল্লাহ তাদের সাথে কথা বলবেন না, তাদেরকে নির্মল করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।" (সূরা বাক্বারাঃ ২/১৭৪)

অর্থাৎঃ তাওরাতের মধ্যে মুহাম্মদ (সাঃ)-এর গুনাবলী সম্পর্কিত যেসব আয়াত রয়েছে সেগুলো যেসব ইয়াহুদী তাদের রাজত্ব চলে যাওয়ার ভয়ে গোপন করে এবং সাধারন আরবদের নিকট হতে হাদিয়া ও উপঢৌকন গ্রহন করতোঃ এই নিকৃষ্ট দুনিয়ার বিনিময়ে তাদের আখেরাতকে খারাপ করে থাকে তাদেরকে এখানে ভয় দেখানো হয়েছে । যদি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর নবুয়তের সত্যতার আয়াতগুলো যা তাওরাতের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে, জনগনের মধ্যে প্রকাশ পায় তবে তারা তাঁর আয়াত্তাধীনে এসে যাবে এবং তাদেরকে পরিত্যাগ করবে-এই ভয়ে তারা হিদায়াত ও মাগফেরাত ছেড়ে পথভ্রষ্টতা ও শাস্তির উপরেই সন্তুষ্ট হয়ে গেসে। এই কারনেই ইহহলোকিক ও পারলৌকিক ধ্বংস তাদের উপর অবতীর্ণ হয়েছে। পরকালের লাঞ্ছনা ও অপমান তো প্রকাশমান। 
কিন্তু এই কালেও জনগনের নিকট তাদের প্রতারনা প্রকাশ পেয়েগেছে। তাদের দুষ্টু আলেমরা যে আয়াতগুলো গোপন করত সে-গুলোও জনসাধারনের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ে । 

আমাদের মাঝেও অনেক ইসলামিক দল বিদ্যমান রয়েছে, যারা দাওয়াতি কাজ করে থাকেন। তারা কি আমাদের সত্য জানিয়েছে ? যা আল্লাহ কোরআনুল কারীমে প্রকাশ করেছেন? তারা কি প্রকাশ করেছেন যা সহীহ হাদোস গরন্থে প্রচার হয়েছে? 
তারাও সেই ইয়াহুদী ধর্ম-যাজকদের মত, গোপন করে নিজের দের কর্ম করে যাচ্ছে যা তারা করত, আজ কোরআন ব্যাবহার হচ্ছে খতম পড়ার কাজে, কোরআন কি এই জন্য নাযীল হয়েছে? অবশই না। 
কোরআন নাযীল হয়েছে রসূল সাঃ এর মাতৃভাষায় যাতে সে তাঁর লোকসকল কে সহযে বুঝিয়ে দিতে পারেন, এবং সবাই সহযে যেন বুজতে পারেন। 
আজ আমাদের দেশে আলেগণ হবে থাকে যে, কোরআন বাংলা ভাষায় পড়লে গোমরাহ হয়ে যাবে, এটা কি সে কৌশল নয় ? যা ইয়াহুদী ও হিন্দুরা করে? ধর্ম কে আলেমদের মাঝেই গোপন করে রাখার কৌশল নয় কি?
আমি যদি আমার মাতৃভাষায় কোরআন পাঠকরি তাহলেই আমি সহযে বুজতে পারব আল্লাহর হুকুম কি? এরপরে আমার জন্য মানতে সহজ হবে । যদি পুরোনো দিনে ফিরে যাই দেখা গেসে; সবাই নিজদের কর্মে ব্যাস্ত থাকত নামাজের সময়ে মসজিদে লোক তেমন দেখা যেত না। কারণ তারা বুজত না, ইমাম যা বলত তাই ছিল ধর্ম। 
আলহামদুলিল্লাহ আজ আর তা নেই আজ অনেকেই কোরআন নিজের ভাষায় বুজেছে , ও হাদিস গ্রন্থ পড়ে যেনেছে আলেম বা ইমাম যা বলে তা নয় ধর্ম হলো আল্লাহ ও রসূল সাঃ যা বলে তা। এই জন্য আমাদের জানা জরুরী আল্লাহ কি বলেছে?
রসুল সাঃ কি বলেছে। কিন্তু ইমাম আলেমগণ যদি আল্লাহর বাণী ও রসূল সাঃ-এর বাণী গোপণ করে তাহলে তাদের আর ঐ সকল ইইয়াহুদীদের মাঝে কি তফাত রইল? 

সকল আলেমদের ব্যাপারে একি হুকুম; যারা আয়াত বা হাদীস গোপন করে; তারা গোপন করে তাদের স্বার্থে , তাই তারা ঐ স্বার্থকে আগুন হিসেবে পাবে আল্লাহর কাছে থেকে গোপন করার ফল। 
এরা আল্লাহর হুকুমের চেয়ে নিজের দলের নেতাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। 
এরা আল্লাহর চেয়ে নিজের দলের নেতাকে বেশি ভয় পেয়ে থাকে। অথচ্ আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ 
اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ
আল্লাহ্‌কে ভয়-শ্রদ্ধা করো যেমন তাঁকে ভয়ভক্তি করা উচিত (সূরা আল ইমরান ৩/১০২) 
ক্ষমতা হারাবের ভয়ে তারা নেতাদের আদেশ মান্য করে আল্লাহর আদেশকে অমান্য করে, ঠিক যেমন করেছে ইয়াহুদী ধর্মযাজকরা। 
আল্লাহ সুবহানাতা'আলা যা বলেছেন তাঁর প্রত্যেকটি বাক্য মানুষের কাছে পৌছে দেবার দায়িত্ব আলেমদের; 
আজ জনসাধারন কতটুকু জানে আল্লাহর তা'আলার আদেশ ও নিষেধ ও তাঁর সিমানা? 
আমাদের  জানতে হবে ও জানাতে হবে। সকলকে । তাই আমাদের কাজ হবে প্রথমে ঈমান সম্পর্কে পরিষ্কার হওয়া। এরপরে সঠিকভাবে আমল করা।

ঈমান সঠিক না করে যতই আমল করি আমাদের কাজে আসবে না।
তাই ঈমান সঠিক করতে হবে; যেমন ঈমান রেখেছে সাহাবী রাঃ-গণ এবং আমল ও বিশুদ্ধ চিত্তে আল্লাহর জন্যে করতে হবে শিরক ও বিদাত মুক্ত। 


তাছাড়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর আলৌকিক ঘটনাবলী এবং তাঁর নিষ্কলুষ চরিত্র মানুষকে তাঁর নবুওয়াতের সত্যতা স্বীকারের প্রতি আগ্রহী করে তোলে। হাত ছাড়া হয়ে যাবে এই ভয়ে যে দলটি হতে তাঁর আল্লাহর কালামকে গোপন রাখতো শেষে ঐ দলটি তাদের হয়েই যাবে। 

Comments

Popular posts from this blog

তিনটি বিশ্বাস সকল ধর্মের মানুষ-ই মানত

কর্মের মাধ্যমে কালেমার অর্থ পরিবর্তন

উম্মাহ