আল্লাহর প্রতি ভালবাসা ও ভয়
আল্লাহর প্রতি ভালবাসা
আল্লাহকে ভালবাসতে হবে দুনিয়ার সবকিছুর চেয়ে উর্ধে। কারন আল্লাহর কাছেই আমাদের ফিরে যেতে হবে। আল্লাহ আমাদের জন্য ৫ ওয়াক্ত স্বলাত ফরজ করেছেন, যেন আমরা তাকে স্মরনে রাখি ভূলে না যাই। যদি এই হুকুম ভালবাসার টানে না নিয়ে, অন্য যে কোন ভাবে নেই, তাহলে এমন হবে যে;
ফজর এর নামাজ ৪ রাকাত; ৫ মিনিট।
যোহর এর ফরয ৪ রাকাত; ২/৩ মিনিট।
আসর ২/৩ মিনিট।
মাগরেব ২/৩ মিনিট।
এশা ৬ মিনিট।
দায়ভার শেষ।
এমন কি ভাবি যে আমার এই নামাজ কতখানী গ্রহণীয়?
আমরা ভাবি না। তাই আজ এই হাল.
ফজর এর নামাজ ৪ রাকাত; ৫ মিনিট।
যোহর এর ফরয ৪ রাকাত; ২/৩ মিনিট।
আসর ২/৩ মিনিট।
মাগরেব ২/৩ মিনিট।
এশা ৬ মিনিট।
দায়ভার শেষ।
এমন কি ভাবি যে আমার এই নামাজ কতখানী গ্রহণীয়?
আমরা ভাবি না। তাই আজ এই হাল.
আর যদি আল্লাহ কে ভালবেশে রসূল সাঃ কে ভালবেসে সুন্নত আকড়ে ধরে স্বলাত আদায় করতাম?
তাহলে আমাদে স্বলাত হতো;
তাহলে আমাদে স্বলাত হতো;
ফযর সুন্নত সহ, ২০ মিনিট। (কারন ফজরের ফরয নামাজটা অন্ধকার থেকে শুরু করে ফর্সা করা পর্যন্ত পড়া সুন্নত সম্মত)
যোহর ৪ রাকাত ফরয, কমের পক্ষে ১৫/২০ মিনিট।
আসর ১৫/২০ মিনিট।
মাগরেব ১৫ মিনিট, শুধু ফরয।
এশা, সময় নিয়ে নিজের মনের মত একটা বড় সূরা....
যোহর ৪ রাকাত ফরয, কমের পক্ষে ১৫/২০ মিনিট।
আসর ১৫/২০ মিনিট।
মাগরেব ১৫ মিনিট, শুধু ফরয।
এশা, সময় নিয়ে নিজের মনের মত একটা বড় সূরা....
আমরা কেন আল্লাহ কে ভালবেসে তার এবাদত করি না?
কারন আমরা আল্লাহর চেয়ে এই পার্থিব জীবনকে জীবনের প্রয়োজন কে, প্রয়োজনীয় মানুষকে বেশি ভালবাসি।
আল্লাহ বলেছেনঃ
কারন আমরা আল্লাহর চেয়ে এই পার্থিব জীবনকে জীবনের প্রয়োজন কে, প্রয়োজনীয় মানুষকে বেশি ভালবাসি।
আল্লাহ বলেছেনঃ
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَتَّخِذُ مِن دُونِ اللّهِ أَندَاداً يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللّهِ وَالَّذِينَ آمَنُواْ أَشَدُّ حُبًّا لِّلّهِ وَلَوْ يَرَى الَّذِينَ ظَلَمُواْ إِذْ يَرَوْنَ الْعَذَابَ أَنَّ الْقُوَّةَ لِلّهِ جَمِيعاً وَأَنَّ اللّهَ شَدِيدُ الْعَذَابِ
165
165
আর কোন লোক এমনও রয়েছে যারা অন্যান্যকে আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করে এবং তাদের প্রতি তেমনি ভালবাসা পোষণ করে, যেমন আল্লাহর প্রতি ভালবাসা হয়ে থাকে। কিন্তু যারা আল্লাহর প্রতি ঈমানদার তাদের ভালবাসা ওদের তুলনায় বহুগুণ বেশী। আর কতইনা উত্তম হ’ত যদি এ জালেমরা পার্থিব কোন কোন আযাব প্রত্যক্ষ করেই উপলব্ধি করে নিত যে, যাবতীয় ক্ষমতা শুধুমাত্র আল্লাহরই জন্য এবং আল্লাহর আযাবই সবচেয়ে কঠিনতর।
সূরা বাক্বারা; ২
আয়াত নাম্বার; ১৬৫
_________
আয়াত নাম্বার; ১৬৫
_________
আমরা আল্লাহকে ভালবাসি না বলেই তার আযাবকেউ ভয় করি না তাই আমাদের অন্তর শক্ত হয়ে গেসে।
আল্লাহকে এমন ভালবাসতে হবে, যেই ভালবাসার মত অন্য কিছুই হবে না।
কেউ হবে না।
আল্লাহকে এমন ভালবাসতে হবে, যেই ভালবাসার মত অন্য কিছুই হবে না।
কেউ হবে না।
রাত ১২:০০ টায় যদি গার্ল ফ্রেন্ড কল করে, আমার সাথে শিজ্ঞিরী দেখা করতে আস।
আমরা দৌড়ে ছুটে যাব।
কোন প্রশ্ন করব না।
আমরা দৌড়ে ছুটে যাব।
কোন প্রশ্ন করব না।
কিন্তু সারা রাত্র পড় আল্লাহ ফজরের সময় আমাদেরকে ডাকেন আমাদের মঙ্গল এর জন্য।
আমরা কত জনে উঠি?
আমরা কত জনে উঠি?
যেই মসজিদে জুম্মার দিন যায়গা হয় না, সেই মসজিদেই ফজরে কাতার ও ভরে না।
অথচ আমরা সবাই মুসলিম, আল্লাহকে মানি, রসূল সাঃ কে মানি, আল্লাহর কোরআন কে মানি, ফেরেস্তাদের মানি, কিয়ামত মানি, জান্নাত ও জাহান্নাম ও মানি, আমরা কেমন মুসলিম?
আমাদের মুসলিম নামের আগে একটা টাইটেল আছে তাহলো, #মোনাফেকমুসলিম।
কারন আমরা আল্লাহ কে না ভালবাসি, না ভয় করি।
তাই আল্লাহ বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اتَّقُواْ اللّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلاَ تَمُوتُنَّ إِلاَّ وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।
তাই আল্লাহ বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اتَّقُواْ اللّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلاَ تَمُوتُنَّ إِلاَّ وَأَنتُم مُّسْلِمُونَ
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।
সূরা আল ইমরান; ৩
আয়াত নাম্বার ১০২
আয়াত নাম্বার ১০২
এখানে আল্লাহ বলেছেন "অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।" এই কথা টি কোন অমুসলিম বা কাফেরদের বলেন নাই। যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান তো এনেছে কিন্তু বাকি হুকুম আহকাম যা অনেক মানে না,
যেমনঃ আল্লাহর বিধান পরিবর্তন।
আল্লাহর আইন মেনে দুনিয়ায় চলা যাবে না।
পর্দা না করা,
সময়মত স্বলাত আদায় না করা।
আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে দলের আইন মেনে চলা।
স্বলাত আদায় করলেও মনোযোগি না হওয়া।
রসূল সাঃ এর আদেশকে অমান্য করা।
ইত্যাদি...
যেমনঃ আল্লাহর বিধান পরিবর্তন।
আল্লাহর আইন মেনে দুনিয়ায় চলা যাবে না।
পর্দা না করা,
সময়মত স্বলাত আদায় না করা।
আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে দলের আইন মেনে চলা।
স্বলাত আদায় করলেও মনোযোগি না হওয়া।
রসূল সাঃ এর আদেশকে অমান্য করা।
ইত্যাদি...
সিরাতল মোস্তাকিম এর পথ আল্লাহর কাছে চেয়ে, সেই পথে চলতে হিবে আমাদের। বাকিটা পথ দেখাবে আল্লাহ। যদি আমরা চলি তবে ইনশাআল্লাহ।
Comments
Post a Comment