একগুঁয়ে ও জেদী নারীঃ


লিখেছেন:
আমীনা মাসআদ আল হারবী
সহকারী প্রফেসর
কিং আবদুল আযীয বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদী আরব।
দাম্পত্য, পরিবার ও সমাজ বিষয়ক পরামর্শদাতা
==================================
একগুঁয়ে ও জেদী নারীরা দাম্পত্য জীবনে ব্যর্থ এবং এমনকি আত্মীয়দের সাথেও সুসস্পর্ক গড়তে ব্যর্থ।
যে নারী সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে আবেগ-ভালোবাসা আর নমনীয়তার বিচক্ষণতা হারিয়েছে আর নিজের মতামত ও জিদকে প্রাধান্য দিয়েছে, সেই দাম্পত্য জীবনে সবচেয়ে বেশী ব্যর্থ হয়েছে। কেন?
(১) কেননা তখন সে স্বামীর সাথে টানাটানি ও ঠেলাঠেলিতে প্রবেশ করবে। বিজয়ের জন্য নিজের আমিত্বকে জাহির করতে চাইবে। আর তখনই সে স্বামীর জিদের সামনে পরাজিত হবে। এমনকি তার বিরুদ্ধে নিকটস্থ ব্যক্তিরাও জেদী হয়ে উঠবে। কেননা পুরুষরা জেদী স্ত্রী বা একগুঁয়ে বোনের সামনে আরো বেশী কঠোর ও জেদপ্রবণ হয়ে উঠে। কিন্তু নমনীয় নারীর সামনে তারা হয় কোমল।
(২) জেদী নারী ধারণা করে, সে যদি নিজের মতামতের উপর দৃঢ় থাকে এবং দ্বন্দ্বের ঝড়ে অটল থাকতে পারে, তবে সে বিজয়ী হবে। কিন্তু একথা ভুলে যায় যে, নিজের মতের ক্ষেত্রে জিদ করে যদি একটা বিজয় পেয়েও যায় কিন্তু বিপরীত দিকে সে এমন একটি হৃদয় হারাবে যে তাকে ভালোবাসতো।
(৩) অধিকাংশ ঘটনায় পণ্ডিতগণ সহজ-সরল নম্র ও আবেগপ্রবণ স্বামীভক্ত নারীদের প্রশংসা করেছেন। যে নারী নম্রতার সাথে স্বামীকে সঙ্গ দেয় ও তার ভালোবাসা আদায় করার কৌশল বুঝে, তাকেই স্বামী অধিকভালোবাসে ও তাকে আঁকড়ে রাখে।
(৪) ঝড় উঠলে তা চলে যাওয়ার জন্য যে নারী মাথা নামিয়ে নুয়ে পড়ে, সেই বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী, তার পক্ষেই সংসারকে চিরকাল আঁকড়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু যে নারী শুকনো গাছের মত মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে, সে মচকে যায় বা এমনভাবে ভেঙ্গে যায়- যা আর জোড়া লাগে না।
(৫) নিজের মতের উপর অটল জেদী নারীর বিশ্বাস হচ্ছে.. আমিই বিজয়ী হব, তুমি পরাজিত হবে। এ নারী মূলত: অন্যকে ধ্বংস করার পূর্বে নিজেকেই ধ্বংস করে। সর্বদা আফসোসের জীবন অতিবাহিত করে। যার তিক্ততা সে ভোগ করে দুনিয়া ও আখেরাতে।
(৬) পারিবারিক কনসালটেন্সি বিভাগে কাজ করে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হচ্ছে: একগুঁয়ে ও জেদী নারীদের পরিণাম শেষ হয় তালাকের মাধ্যমে। ফলে তারা পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে হয় ব্যর্থ।
(৭) বেদুঈন মহিলা তার কন্যার বিদায়ের দিন যে উপদেশ দিয়েছিল। তা অত্যন্ত চমৎকার প্রজ্ঞাপূর্ণ কথা এবং পরিক্ষীত সত্য। সফল স্ত্রীরা এর বাস্তবাতাকে প্রমাণ করেছেন। উপদেশটি হচ্ছে: “তুমি স্বামীর সামনে নিজেকে একজন দাসীতে পরিণত কর। দেখতে পাবে অচিরেই সে তোমার দাসে পরিণত হয়ে যাবে।”
ভালো পুরুষরা ধৈর্যশীল ও উদার হয়ে থাকে, কিন্তু নির্বোধ ও একগুঁয়ে-জেদী নারীরা তাদেরকে শত্রুতে পরিণত করে।
see more at; www.Quranerpoth.com

Comments

Popular posts from this blog

তিনটি বিশ্বাস সকল ধর্মের মানুষ-ই মানত

কর্মের মাধ্যমে কালেমার অর্থ পরিবর্তন

উম্মাহ